কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন ফরম -পূরণ করার উপায় জানুন
প্রিয় পাঠক, আপনি কি কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন ফরম পূরণ করে লোন নিতে
চান? তবে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্যই। কেননা আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে
আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংকে লোন আবেদনের জন্য সহজে ফরম পূরণ করে লোন নিতে
পারবেন।
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কারণে ব্যাংক থেকে আমাদের অনেককেই লোন নিতে হতে পারে। আর
আপনি যদি তেমনভাবে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তবে কোন ঝামেলা
ছাড়ায় নিতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে এর ফর্ম পূরণ করা সহ কিছু নিয়ম জানতে হবে
যেটা এখন আপনি জানবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন ফরম
- কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন ফরম পূরণ
- কিভাবে কর্মসংস্থান ব্যাংকে সহজে লোন নিতে পারবো
- কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন আবেদনে কিছু শর্তাবলী
- কর্মসংস্থান ব্যাংকে অনলাইন লোন আবেদন পদ্ধতি
- কর্মসংস্থান ব্যাংকে লোন আবেদন ফি কত টাকা লাগে
- কর্মসংস্থান ব্যাংকে লোন ফরম ডাউনলোড লিংক
- কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন ফরমে সাধারণ ভুল
- কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পরিশোধ পদ্ধতি
- আমাদের শেষ কিছু কথা
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন ফরম পূরণ
অনেক সময় আমাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না থাকায় আমরা কোন বিশেষ কারণে
কিংবা ব্যবসার জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিতে চায়। হয়তো আপনিও
তেমন কোন কারনেই লোন নিতে চান। তবে সেই লোনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করা যদি আমরা
না জানি বা পূরণ করতে ভুল করি তবে আমাদের অনুমোদন পেতে দেরি হতে পারে। চলুন
জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি সহজে লোন আবেদন ফরম পূরণ করবেন।
- আপনার নিকটস্থ কোন কর্মসংস্থান ব্যাংক এর শাখা থেকে ফরম সংগ্রহ করে নিন। এছাড়াও আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফরম প্রিন্ট করে নিতে পারেন।
- সেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অর্থাৎ আপনার নাম, আপনার পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর সঠিকভাবে লিখুন এবং প্রয়োজনে একবার যাচাই করে নিন।
- এরপরে আপনার ঠিকানা সঠিকভাবে লিখে দিন। স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা আলাদাভাবে লিখুন। বিশেষ করে জেলা, থানা ও পোস্ট কোড সঠিকভাবে লিখুন।
- এরপরে আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে কিসের জন্য অর্থাৎ কি কাজের জন্য লোন নিতে চান সেটা উল্লেখ করুন পাশাপাশি কত টাকা লোন নিতে চান সেটাও লিখে দিন।
- আপনি যদি নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য লোন নিতে চান তবে আপনার ব্যবসার সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা সেখানে লিখে দিন।
- এরপরে আপনার জামিনদারের তথ্য সঠিকভাবে দিন। তার নাম, ঠিকানা, সে কি করে অর্থাৎ তার পেশা কি এবং তার এনআইডি কার্ডের নাম্বার সঠিকভাবে লিখে দিন। জামিনদার যেন ব্যাংকের সমস্ত শর্ত পূরণ করে সেটা নিশ্চিত করে নিন।
- আপনার মাসিক আয় এবং ব্যয়ের হিসাব সঠিকভাবে লিখে দিন। অবশ্যই সঠিকভাবে তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন ভুল হলে সমস্যা হতে পারে।
- ফরমের সাথে প্রয়োজনে কাগজপত্র গুলো যুক্ত করে দিন। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, আপনার দুই কপি ছবি দিবেন। তবে আপনার ব্যবসা নিবন্ধন এবং টিন সার্টিফিকেটের ফটোকপি যদি থাকে তবে দিতে পারেন।
- সবশেষে আপনার আবেদন ফরমে নির্দিষ্ট স্থানে স্বাক্ষর করুন এবং তারিখটা লিখে দিন। অবশ্যই পত্রটি ভালোভাবে যাচাই করে তারপরে স্বাক্ষর দিবেন।
- এরপরে আপনার সম্পূর্ণ ফরম এবং কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিয়ে দিন। পাশাপাশি রিসিভ কপি সংগ্রহ করে রাখুন।
কিভাবে কর্মসংস্থান ব্যাংকে সহজে লোন নিতে পারবো
আমরা কিভাবে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে সহজে লোন নিতে পারবো এই সম্পর্কে আমাদের
আগে জানা উচিত, তাই না ? প্রধানত আপনি যদি কোন নতুন ব্যবসা শুরু করতে
কিংবা চলমান ব্যবসা আরো বড় করতে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে সহজে লোন নিতে চান
তাহলে আপনাকে আপনার ব্যবসার একটি সুন্দর পরিকল্পনা করতে হবে। অর্থাৎ আপনি
কোথায় বিনিয়োগ করবেন, কত টাকা প্রয়োজন পড়বে,
আপনি ব্যবসায়ী কিভাবে লাভ করবেন এ সকল বিষয় আপনাকে আগে ঠিক করে নিতে
হবে। তারপরে উপরে যেইভাবে আলোচনা করলাম ঠিক সেইভাবে আপনাকে অফিসিয়াল
ওয়েবসাইট থেকে কিংবা নিকটস্থ কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখা থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ
করে সুন্দরভাবে পূরণ করতে হবে। তবে কোন কিছু যেন ভুল না হয় সেদিকে ভালোভাবে
লক্ষ্য করবেন।
আপনার ফরম পূরণ হয়ে গেলে প্রয়োজনে কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরে এবং জামিনদারের
সমস্ত তথ্য সঠিক ভাবে দেওয়া হলে ফরম জমা দিবেন যেটা ব্যাংকের কর্মকর্তারা
যাচাই-বাছাই করে নিবে। যদি আপনার সমস্ত তথ্য সঠিক থাকে এবং ব্যবসার
পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত হয় তাহলে খুব শীঘ্রই কর্মসংস্থান ব্যাংক আপনাকে
প্রয়োজন অনুযায়ী লোন দিয়ে দিবেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন আবেদনে কিছু শর্তাবলী
আমরা যদি কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন আবেদন করতে চাই তবে ব্যাংক থেকে আমাদের
কিছু শর্তাবলী দিয়ে থাকে। যেসব শর্তগুলো পূরণের মাধ্যমেই আমরা ব্যাংক
থেকে লোন গ্রহণ করতে পারবো। তাই লোন নেওয়ার পূর্বে আমাদের জানা উচিত সেইসব
শর্তগুলো আসলে কি। চলুন কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন আবেদনের শর্তগুলো জেনে
নেওয়া যাক।
- কর্মসংস্থান ব্যাংকে লোন আবেদনের প্রথম শর্ত হলো আপনাকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
- আপনি যদি আবেদনকারী হন তবে আপনার বয়স ১৮-৫০ বছরের মধ্যে হলে আপনি আবেদন করতে পারবেন।
- আপনি যদি নতুন ব্যবসা করার জন্য লোন নিতে চান তবে আপনার ব্যবসার একটি বাস্তব সম্মত পরিকল্পনা থাকতে হবে। নতুবা আপনার লোন নিতে সমস্যা হতে পারে।
- লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার বিশ্বাসযোগ্য জামিনদার এর তথ্য দিতে হবে যেন তিনি ব্যাংকের সমস্ত শর্ত পূরণ করেন।
- কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পরে সেই লোন আপনি ফেরত দিতে পারবেন কিনা সেই সক্ষমতা আপনাকে প্রমাণ দিতে হবে। অর্থাৎ আপনার আয়ের উৎস স্পষ্ট থাকা জরুরী।
- লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনে কাগজপত্র জমা দিতে হবে যেটা উপরে আলোচনা করা হয়েছে।
- আপনি যদি কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে আগে লোন নিয়ে থাকেন এবং সেটা যদি পরিশোধ না করে থাকেন তবে আপনাকে নতুন করে লোন নাও দিতে পারে।
- শুধুমাত্র আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংকের অফিসিয়াল আবেদন ফরমে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য দিয়ে সেটা জমা দিতে পারবেন। অন্য কোন ফরমে দিলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।
- আপনি কি কাজের জন্য লোন নিতে চান, কৃষিকাজ, ব্যবসা নাকি অন্য কিছু, সেটা স্পষ্টভাবে আপনাকে লিখতে হবে।
- আপনার লোন নেওয়া প্রক্রিয়া চলাকালীন ব্যাংকের দেওয়া সমস্ত নিয়ম আপনাকে মেনে চলতে হবে এবং এটা বাধ্যতামূলক।
কর্মসংস্থান ব্যাংকে অনলাইন লোন আবেদন পদ্ধতি
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যাদের নিকটস্থ কোনো কর্মসংস্থান ব্যাংক
নেই। যার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে চান। আসলে কি অনলাইনের
মাধ্যমে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন করা সম্ভব? হ্যাঁ আপনি চাইলে
অনলাইনেও এ ব্যাংকের লোন আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। কিভাবে আপনি অনলাইনে
এই ফরমটি পূরণ করবেন চলুন এবার এর প্রসেসটি দেখে নিই।
- শুরুতে কর্মসংস্থান ব্যাংক এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। www.kb.gov.bd এই লিংক এ ক্লিক করলে আপনাকে এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে। তার আগে পুরো প্রসেসটা জেনে নিন।
- এরপরে অনলাইন আবেদন ফরম, যেখানে লেখা থাকবে "Online loan application" বা "ঋণ আবেদন" সেখানে ক্লিক করুন।
- আপনি যদি নতুন ব্যবহারকারী হন তবে অবশ্যই অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। আর যদি পূর্বে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সেটি লগইন করে নিন।
- পূর্বের মতোই সেখানে আপনার ব্যক্তিগত ঠিকানা অর্থাৎ নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্মতারিখ ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার সুন্দর এবং সঠিকভাবে লিখে দিন।
- এর পরে আপনার স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা সঠিকভাবে লিখে দিন। ঠিকানা যদি একই হয় তবুও অবশ্যই দুই ঠিকানাই লিখবেন।
- আপনি ব্যাংক থেকে কত টাকা লোন নিতে চান সেটা লিখে দিন এবং কি কারনে নিবেন সেটাও সুন্দরভাবে উল্লেখ করুন সেখানে।
- এরপরে জামিনদারের যে সকল তথ্য লাগবে সবকিছু সুন্দরভাবে লিখে দিন।
- এরপরে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র স্ক্যান করুন এবং ছবি ও ব্যবসা করলে ব্যবসার নিবন্ধন যদি থাকে তবে সেগুলো আপলোড করে দিন।
- সবকিছু আরেকবার যাচাই-বাছাই করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফরমটি সাবমিট করে দিন।
- পরবর্তীতে এই ফরমটি ট্যাগ করার জন্য এর আইডি নাম্বার লিখে রাখতে পারেন। আবেদন গ্রহণ হয়ে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তারা যাদের বাছাই করে আপনাকে জানিয়ে দেবে।
কর্মসংস্থান ব্যাংকে লোন আবেদন ফি কত টাকা লাগে
আপনি যখন কর্মসংস্থান ব্যাংকে লোন আবেদন করতে যাবেন কিংবা এর ফরম সংগ্রহ করবেন
সেক্ষেত্রে কত টাকা ফ্রি হতে পারে এই প্রশ্ন আমাদের অনেকের মনে হয়তো ইতোমধ্যে
জেগেছে, তাইনা? আবার আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে কি এর ফি
লাগবে? চলুন এ বিষয়গুলো ক্লিয়ার করা যাক।
যখন আপনি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে ফার্ম সংগ্রহ করবেন বা ফর্মটি পূরণ করে
জমা দেবেন সেক্ষেত্রে আপনার এর ফি বাবদ ৩০০-৫০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে। তবে এই
টাকার সাথে লোনের টাকার কোন সম্পর্ক নেই। আবার আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করেন তবে
এটি যখন প্রসেস হবে সেই প্রসেসিং ফি বাবদ ৩০০-৫০০ টাকার মতো লাগতে পারে। এ
ব্যতীত আর কোন খরচ নেই।
কর্মসংস্থান ব্যাংকে লোন ফরম ডাউনলোড লিংক
অনলাইনে যদি আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংকে লোন আবেদন ফরম পূরণ করে থাকেন তাহলে সে
ফরমটি ডাউনলোড করবেন কিভাবে? সেটাই এখন আপনাকে জানাবো। কর্মসংস্থান
ব্যাংক লোন আবেদন ফরম কিভাবে পূরণ করবেন সেটা তো অলরেডি খুব সহজে জেনে
গেছেন তাই না। চলুন তাহলে এবার জেনে নিই ব্যাংকের লোন আবেদন ফরম ডাউনলোড
করার প্রসেস সম্পর্কে।
ধাপ | কি কি করতে হবে |
---|---|
১ | অফিসিয়ায় ওয়েবসাইট kb.gob.bd তে যান |
২ | ডাউনলোড ফরম বা লোন ফরম বাটনে ক্লিক করুন |
৩ | আপনার প্রয়োজনীয় লোন নির্বাচন করুন |
৪ | পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করুন |
৫ | প্রিন্ট করে রাখতে পারেন |
কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন ফরমে সাধারণ ভুল
অনেক সময় কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন আবেদন ফরম পূরণ করার সময় আমাদের অনেকেরই
বিভিন্ন জায়গায় ভুল হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে করনীয় কি? আপনি যদি
জানতে চান তাহলে নিচে বিস্তারিত পড়ুন।এখন আমরা জানবো লোন আবেদন ফরম পূরণে ভুল
হলে কি করলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
- লেখার সময় যদি কোন রকম ভুল হয়ে যায় তাহলে সেটা কাটাকাটি না করে আরেকটি ফর্ম নিয়ে পূরণ করুন। কেননা কাটাকাটি থাকলে ব্যাংকের কর্মকর্তা সেটা গ্রহণ নাও করতে পারে।
- কাগজ জমা দেওয়ার আগে ভালোভাবে আপনার নাম ঠিকানা এবং এনআইডি নাম্বার সঠিকভাবে যাচাই করে নিবেন।
- যদি আপনার কোন ভুল বুঝতে না পারেন কিংবা সংশোধন করতে সংকোচ বোধ করেন তাহলে ব্যাংক কর্মকর্তার সাহায্য নিতে পারেন।
- ফরম জমা দেওয়ার পূর্বে সেটার একটা কপি করে নিজের কাছে রাখতে পারেন।
- যদি আপনি ভুল ফরম জমা দিয়ে ফেলেন তাহলে সাথে সাথে ব্যাংক কর্মকর্তাকে জানাবেন। এতে করে তারা আবার নতুন ফর্ম দেবে এবং সেটা পূরণ করে জমা দিবেন।
- অনলাইনে পূরণ করার সময় যদি ভুল হয় তাহলে সেটা কেটে সঠিক করে দিতে পারবেন। কেননা এতে কোন কাটাকাটি হওয়ার ঝামেলা নেই।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পরিশোধ পদ্ধতি
মনে করেন আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন পেয়ে গেলেন এখন কিভাবে সে লোন শোধ
করবেন? লোন নেওয়ার পরে বা আগে আমাদের অনেকের মাথায় এই প্রশ্নটা
আসে। লোন পরিশোধ করার কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো মেনে চললে আপনি সহজেই লোন
পরিশোধ করতে পারবেন। চলুন জেনে নিই কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পরিশোধ করার
পদ্ধতি সম্পর্কে।
- প্রতিটি ব্যাংকে লোনের টাকা সাধারণত মাসিক কিছুতে পরিশোধ করতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনি প্রতি মাসে কিস্তি অনুযায়ী এটি পরিশোধ করতে পারেন।
- ব্যাংক যেই তারিখে নির্ধারণ করেছে ঠিক সেই তারিখে কিস্তি জমা দেওয়ার চেষ্টা করুন।
- ব্যাংক যদি কিস্তিতে মূল টাকা এবং সুদ আলাদা করে নিতে চায় তবে সেই অনুযায়ী টাকাটি ভাগ করে দিন।
- আপনি চাইলে কিস্তির টাকা অনলাইনে ট্রান্সফার বা নগদ শাখার মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।
- আপনি যদি নির্ধারিত তারিখের পূর্বেই কিস্তি দিতে চান তবে ব্যাংক থেকে অনুমতি নিয়ে সেটা পরিশোধ করতে পারবেন।
- আপনার কিস্তি জমা দেওয়ার পরে আপনাকে যে রশিদটি দিবে সেটি সাথে রাখুন।
- আপনার কিস্তি দিতে যদি দেরি হয় তাহলে ব্যাংক অতিরিক্ত জরিমানা কিংবা সুদ আদায় করে নিতে পারে। সে দিক থেকে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- আপনার সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ হয়ে গেলে ব্যাংক কর্তৃক লোন পরিশোধ সম্পন্ন সনদ গ্রহণ করুন।
আমাদের শেষ কিছু কথা
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আপনি জানলেন কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন ফরম
কিভাবে আপনি নিকটস্থ ব্যাংকের শাখা বা অনলাইন থেকে পূরণ করতে পারবেন খুব
সহজে। সাথে ব্যাংক থেকে কিভাবে সহজে লোন নিবেন কিভাবে এই লোন পরিশোধ
করবেন এবং অনলাইনে আবেদন করতে চাইলে কিভাবে করবেন সমস্ত বিষয় খুব সুন্দরভাবে
উপস্থাপন করা হয়েছে আজকের আর্টিকেল।
আশা করা যায় আজকের আর্টিকেল আপনি মন দিয়ে পরলে কোন রকম সমস্যা ছাড়াই
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া থেকে শুরু করে সহজে লোন পরিশোধ করতে
পারবেন। আপনি যদি নিয়মিত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক সেবা বা সরকারি
সেবা সমূহ সম্পর্কে জানতে চান তবে আমাদের এই
ওয়েবসাইট ফলো করে সাথে
থাকুন। হ্যাপিনেস ভ্লগ এর অ্যাডমিন লিখন ভাইয়া সবসময় আপনার সেবায়
নিয়োজিত।
হ্যাপিনেস ভ্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url